The Superstar Of Hell

পুরুষের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা নারী। আর নারীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা নিজের সৌন্দর্যের প্রশংসা! এই দুই দুর্বলতা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য এই দুনিয়ার পরীক্ষার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ।

এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে না পারলে তা মানুষকে এমন নিচু স্তরে নামাতে পারে যেখানে পশুরাও হয়তো লজ্জায় পড়ে যাবে – মানুষ এমন ও হতে পারে!

একটা নারী শুধুমাত্র তার সৌন্দর্যের প্রশংসা পাবার জন্য যে কতটা নিচে নামতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সুন্দরী প্রতিযোগিতাগুলো!

এই আকুতি থেকেই একটা মেয়ে নিজেকে ফেসবুকে রাস্তাঘাটে, টিভি মিডিয়া পর্দায় এমনভাবে জোর করে তুলে ধরে যা সে মন থেকে চায় নি, এমনসব পোশাকে নিজের আবেদন তুলে ধরতে চায় যা তার নিজের পছন্দ আসলে ছিলই না, এমনভাবে নিজেকে বিক্রি করে যার জন্য সে নিজের আত্মসম্মানবোধ জলাঞ্জলি দিতে প্রস্তুত! শুধুমাত্র একটুখানি প্রশংসার রঙচঙে বিশাল ফাদ!

তাবৎ দুনিয়ার সামনে স্রষ্টার দেয়া সুন্দর শরীরটাকে নিজের ক্রেডিট ভেবে বড় বড় স্ক্রিনে তার দেহের প্রতিটা অংশের যখন প্রদর্শন করে বেড়ানো হয়, নির্দিষ্ট কিছু খদ্দেরদের জন্য হাই ক্লাস পতিতা হিসেবে যখন পর্দার পেছনে দরদাম করা হয়, আগামী কয়েক বছরের জন্য তার শরীরের রুপ লাবণ্য কে যখন কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে পণ্য হিসেবে ব্যবহারের কন্ট্রাক্ট সাইন করা হয়, তখন সে বিভোর থাকে এমন এক ইলিউসিভ স্বপ্নে যেখানে থাকে কেবলমাত্র সামান্য কিছু দিনের সস্তা জনপ্রিয়তা, কিছু অটোগ্রাফ, ফটোগ্রাফ, বিলাসিতা!

এই সবকিছুর শুরু হয় সেই প্রশংসা বাণে জর্জরিত হবার প্রবল আকুতি থেকে! এই ফাদে পা দেওয়া মাত্রই সে কেবলমাত্র এক দলা মাংস হিসেবে বিবেচিত হওয়া শুরু করে, যা অর্থের দাসত্বে একের পর এক হাত বদল হতে থাকে, নিজের ক্ষণিকের সৌন্দর্যের আমানত কে এবিউজ করার ফলে সে নিজেই প্রতিনিয়ত এবিউজ হতে থাকে রক্ষিতা হিসেবে সমাজপতিদের হাতে।

মানুষ তাকে সুন্দর বলে এ জন্য না যে সে আচার ব্যবহার চরিত্র গুণে সুন্দর, বরং তার ঐ শরীরটাকে একটাবার ভোগ করতে চাওয়ার অধরা আকাঙ্ক্ষা থেকে, যেখানে মানুষ হিসেবে তার কোন মূল্যায়ন থাকে না, স্রেফ এক দলা মাংস!

সমাজপতিদের চাহিদা মিটে গেলে, হাত বদল হতে হতে পুরোনো হয়ে গেলে, সেই রুপ লাবণ্যের দাপট চামড়া ঝুলে যাওয়ায় হাহাকারে পরিণত হলে সমাজ আর এই চকচকে আবর্জনাদের দাম দেয় না, একদম ভাগাড়ে ছুড়ে ফেলে! তখন তার চামড়ার কেনা বেচা বন্ধ হয়ে যায়, ভাগ্যক্রমে যদি কোন চামড়াব্যবসায়ী তাকে রুপের ফুলে ভ্রমর হয়ে অর্ধাংগিনী বানিয়েও থাকে সেও ব্যস্ত হয়ে পড়ে নতুন ফুলের মধু খুঁজতে!

কি পরিমাণ মানসিক হতাশা, আক্ষেপ আর অবহেলায় যে এদের জীবন শেষ হয় তা বলতে গেলে দুনিয়ায় জাহান্নাম এর মত! এতোকিছুর পরেও অবুঝ মেয়েগুলো সময় থাকতে বুঝতে চায় না! নিজের রুপের মোহে নিজেই এতোটা অন্ধ থাকে যে নিজেকে পাবলিক প্রপার্টি হিসেবে স্বেচ্ছায় বেচে দেয় আর কামিয়ে নেয় জাহান্নামের আগুন। এইকালে অদৃৃশ্য আগুনে জ্বলে আর হাজার লক্ষ পুরুষের মনোরঞ্জনের পর পরকালে সত্যিকারের ৭০ গুণ আগুন ই শেষ পর্যন্ত এদের প্রশংসার আকুতির ক্ষুধা মেটায়!


- মাহফুজ আল আমিন

Comments

Popular posts from this blog

Load base64 image data in img html element using javascript

মাহরাম