গীবত ও চোগলখুরী
“যদিও গীবত করা ভালো না, তারপরও একটা সত্য কথা বলি...”। এভাবেই আমরা গীবত শুরু করি। কারো এমন কথা যা তার সামনে বললে যদি সে কষ্ট পায় ওই একই কথা যদি তার অনুপস্থিতিতে আরেকজনের সামনে বললে তাকেই গীবত বলে যদিও কথাটি সত্য হোক না কেন। সত্য হলে গীবত আর বানিয়ে বললে হবে অপবাদ। যা গীবতের চেয়েও মারাত্মক। দেশে ইসলামি আইন থাকলে অপবাদ দেয়ার শাস্তি তাকে পেতে হত, আখিরাতেও তো আছেই। আবু হুরায়রা (রাদিঃ) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ(ﷺ)বলেছেন, গীবত কাকে বলে, তোমরা জান কি? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই(ﷺ)ভালো জানেন। তিনি বললেন, তোমার কোন ভাই সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তাই গীবত। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি যে দোষের কথা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? উত্তরে রসুলুল্লাহ(ﷺ)বললেন, তুমি যে দোষের কথা বল, তা যদি তোমার ভাইয়ের থাকে তবে তুমি অবশ্যই তার গীবত করলে আর তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছ। (সহিহ মুসলিম) গীবতের পরিণামঃ গীবত ইসলামি শারিয়াতে হারাম ও কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘...