সমালোচনা

বিসমিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লি ‘আলা রাসূলিহিল কারীম।ফেইসবুকের অধিকাংশ পোস্টই এখন সমালোচনা/ পালটা সমালোচনা মূলক। কোনো কিছু আমাদের মনমতো না হলেই আমরা সমালোচনা করি। সেই সমালোচনা মনমতো না হলে আমরা আবার পালটা সমালোচনা করি। কিন্তু সমালোচনার এই বিনিময়ের ফলে যে ইতিবাচক ফলাফল আসার কথা সেটা আসছে না। ফলে, দিনশেষে সমালোচকদের সম্বল তিক্ততা আর পাঠককুলের অর্জন সংশয় আর হতাশা। তাহলে কি আমরা সমালোচনা করা ছেড়ে দিব? অবশ্যই না। গঠনমূলক সমালোচনা সামষ্টিকভাবে আমাদের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন। আর মু’মিন তো মু’মিনের আয়নাস্বরূপ, সেই আয়নায় পর্দা দিলে কীভাবে হবে? তাই সমালোচনা ও সমালোচনা গ্রহণ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে আমার নিজস্ব কিছু মতামত তুলে ধরছি এবং এক্ষেত্রেও সবার কাছ থেকে গঠনমূলক সমালোচনা আশা করছি। সমালোচনা মূলত একটা প্রতিক্রিয়াসুলভ ব্যাপার। কোনো ঘটনা বা বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমরা সমালোচনা করতে উদ্যোগী হই। কিন্তু প্রতিক্রিয়া দেখানো আর সমালোচনা করার মাঝে কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রতিক্রিয়া দেখানোর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করা যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গায়ের জ্বালা জুড়ানোর জন্য করা হয়ে থাকে। বলা বাহুল্য যে, একেই আমরা সমালোচনা বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করি। আর একারণেই অধিকাংশ সমালোচনা তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। কিন্তু মূলত সমালোচনা হচ্ছে, আলোচ্য বিষয়ের ত্রুটিগুলো এমনভাবে বিশ্লেষণ করা যেন তা ত্রুটিগুলোকে বোঝা এবং ত্রুটিস্বীকার করে সংশোধনে উদ্যোগী হওয়ার ক্ষেত্রে সমালোচিত ব্যক্তিকে আগ্রহী করে তোলে। সমালোচক যেটিকে ত্রুটি মনে করে সমালোচনা করছেন সমালোচিত ব্যক্তি সেটিকে ত্রুটি নাও মনে করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাকেও এগিয়ে এসে এ ব্যাপারে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে। এমনটা হতে পারে যে, উভয় পক্ষ তাদের অবস্থানে অনড় থাকলেন। কিন্তু এই সমালোচনা-পাল্টা সমালোচনা সুষ্ঠুভাবে হলে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে পাঠকের জন্য বিষয়টি বোঝা এবং নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে যায়। উপরন্তু, মতবিনিময়ের সুন্দর এই পরিবেশ পাঠকদের সার্বিকভাবে উভয়পক্ষের প্রতি অনুরাগী ও শ্রদ্ধাশীল করে তুলবে। সমালোচনার ন্যূনতম লক্ষ্য হওয়া উচিত (অন্তত ফেইসবুক প্লাটফর্মে) তৃতীয়পক্ষ অর্থাৎ পাঠককুলের এই অনুরাগ ও শ্রদ্ধা। মূলত এই লেখার অভীষ্ট পাঠক হচ্ছেন আন্তরিকভাবে ইসলাম পালনে আগ্রহী মুসলিম ফেইসবুকার সমাজ। এখন সমালোচনার ক্ষেত্রে আমাদের চিন্তাধারা বা কর্মপদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত সেটা কিছুটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা যাক।১। ইখলাসের প্রতি নজর দেওয়া। প্রতিক্রিয়াসুলভ কাজ হওয়ার কারণে ঝাল মেটানোর জন্য কিছু লিখে বসা খুব সহজ। কিন্তু এতে প্রথমত নফসকে এবং দ্বিতীয়ত অনিয়ন্ত্রিত শব্দচয়নের কারণে শয়তানকে সন্তুষ্ট করা হয়, যে রবের সন্তুষ্টি আমরা চাই সেই রব, আল-ওয়াদুদ, আর-রউফ, আল-হালীম, আর-রাহীম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকে নয়। তাই কারো লিখা পড়ে বা কাজ দেখে যদি সারা শরীরে হুল ফোটে তবে সেই হুল প্রশমিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ( একাজটি করতে পারলে পরবর্তীতে জীবনে বহুবার নিজেকে প্রচুর ধন্যবাদ দিবেন) ২। প্রতিক্রিয়াকে আপনি বশে আনতে পেরেছেন। এখন আপনি ইখলাসের সাথে সমালোচনা করতে চান যাতে করে আলোচ্য ব্যক্তিকে তার ত্রুটিগুলো বোঝানো যায় এবং জনসাধারণকে সমস্যার ভয়াবহতা বোঝানো যায়। চমৎকার। এবার লক্ষ্য নির্ধারণ করার পালা।


  • মূল লক্ষ্য যদি হয় আলোচ্য ব্যক্তির সংশোধন, সেক্ষেত্রে একান্তে ও গোপনে সমালোচনা করা বাঞ্ছনীয়। সমালোচিত ব্যক্তির সাথে আপনার সম্পর্কের ভিত্তিতে সমালোচনার সুর নির্ধারণ করা উচিত। সেটা ক্ষেত্রবিশেষে, কড়া ধমক, তিরস্কার থেকে শুরু করে নরম ভাষায় বোঝানো কিংবা বিনীতভাবে ভুলগুলো তুলে ধরা হতে পারে। মূল লক্ষ্য সংশোধন, তাই যে সুরে কথা বললে সংশোধনের সম্ভাবনা বেশি সে পথেই এগোতে হবে।


সেই ব্যক্তি ভুল সংশোধনে আগ্রহী না হলে যদি তার বক্তব্য বা কাজে সাধারণভাবে অন্যদের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তো জনসম্মুখে পরিমিত ভাষায় ভুলগুলো তুলে ধরে সতর্ক করতে হবে। তবে কোনোভাবেই সমালোচিত ব্যক্তির সম্মানে আঘাত করা যাবে না। এতে নিজের এবং লক্ষ্য অর্জনের ক্ষতি ছাড়া আর কিছু হবে না।


  • সমালোচনার মূল বিষয়বস্তু যদি জনসম্মুখে এসে গিয়েই থাকে সেক্ষেত্রেও আগের পয়েন্টের তৃতীয় ধাপ অনুসরণ করতে হবে। মনে রাখা জরুরী যে, কথার হুল ফুটিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করার ক্ষেত্রে প্রায়ই আমরা কোল্যাটেরাল ড্যামেজ করে নিরপেক্ষ পাঠকদের আহত করি। তাই হুল ঘরে রাখুন বহিঃশত্রুদের থেকে নিরাপত্তার জন্য আর ফুল বের করে আনুন ভাইদের জন্য যেন কোল্যাটেরাল ড্যামেজের পরিবর্তে পাঠককুল কোল্যাটেরাল বেনিফিট নিয়ে লগআউট করে। 


  • সমালোচনার মূল লক্ষ্য কি হবে সেটা আসলে বিষয়ভেদে ভিন্ন হবে। তাই লক্ষ্য নির্ধারণে যুগপৎ বাস্তববাদী ও আশাবাদী হতে হবে। একটু ব্যাখ্যা করি।


ধরুন, ক্ষেত্রবিশেষে সমালোচিত ব্যক্তি একটু গোঁয়ার ধরনের এবং অনলাইনে যেকেউ কিছু বললেই তিনি আমলে নেবেন না, সেক্ষেত্রে মার্জিত ভাষায় ত্রুটি বা দ্বিমতগুলো তুলে ধরাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, এই উপায়েই আপনার অবস্থান থেকে তাকে সংশোধনের সম্ভাবনা বেশি। আপনার তীর্যক মন্তব্য তার গোয়ার্তুমিই বৃদ্ধি করবে মাত্র। ফিরাউনের ক্ষেত্রে রাব্বুল ইজ্জাত আল্লাহ আযযাওয়াজাল কালীমুল্লাহ মুসাকে (আলাইহিস সালাম) এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন।

فقولا له قولا لينا لعله يتذكر او يخشى

“অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে।”(ত্ব-হা:৪৪)

এক্ষেত্রে আপনি বাস্তববাদী হয়ে পন্থা নির্ধারণ করলেন এবং তার সংশোধনের ব্যাপারে আশাবাদী হলেন। ‘অমুককে বলে কোনো লাভ নেই’ – এই হতাশামূলক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতেও পারলেন। উল্লেখ্য যে, আমাদের রব আল-হালীম কুরআনে আমাদের উন্নতির ব্যাপারেও আশাবাদী হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, ‘লা’আল্লাকুম তাত্তাক্বুন/ লা’আল্লাকুম তাহতাদুন’ - হয়তো তারা তাকওয়া লাভ করবে/ হয়তো তারা পথ খুঁজে পাবে, ইত্যাদি। ফেরাউনের ব্যাপারেও আল্লাহ তা’আলা উপরের আয়াতটিতে ‘লা’আল্লা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যেখানে ফেরাউনের প্রতি আশাবাদী মনোভাব দেখিয়েছেন, সেখানে মুসলিম ভাইদের প্রতি আশাবাদী মনোভাব পোষণ করা তো আমাদের জন্য আবশ্যকই বলা চলে। আবার কোনো ক্ষেত্রে বিষয়টি এমনও হতে পারে যে, সংশোধনের সুযোগ আসলে নেই, সেক্ষেত্রে আপনার সমালোচনার মূল লক্ষ্য হতে হবে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করা। চেষ্টা কথাটা এজন্য বললাম যে, সবরকম ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা আমাদের আওতায় নেই। তাই এমন কিছু করে বসা চলবে না, যাতে আমাদের আওতাভুক্ত বিষয়গুলো আমরা সেই আওতাবহির্ভূত লক্ষ্য অর্জন করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলি। আমাদের আওতায় আছে উত্তম আচরণ করা, সমালোচনা করার সময় ইনসাফ করা। সমালোচিতের জন্য দু’আ করা এবং তাঁর ভুলের অনিষ্ট থেকে সকলের হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়া। মুদ্রার অপরপিঠে আছে সমালোচনা খালিসভাবে গ্রহণ করা এবং সংশোধনে আগ্রহী হওয়া। কটু ভাষায় এলেও মূল বিষয়টুকু আমলে নেওয়ার চেষ্টা করা, সমালোচনার নামে অপবাদ, গালিগালাজ উপেক্ষা করে যাওয়া। নবীওয়ালা কাজের পথে এগুলো তো সঠিক পথে থাকার ইঙ্গিতমাত্র। সমালোচনার উদ্দেশ্য নিজ ঘরানায় বাহবা পাওয়া  নয়। নিজ ঘরানার জন্য টিপ্পনীর আড্ডা বসানোর আমন্ত্রণও নয়। আমাদের সমালোচনার নিচে যদি ব্যঙ্গ রসিকতার মেলা বসে তাহলে আমাদের সমালোচনা উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। সমালোচনা তো এমন হবে যা সমালোচক আর সমালোচিতের সম্পর্ককে আরও সুন্দর করবে। একে অপরের জন্য দু’আ করতে উৎসাহিত করবে। কিন্তু এটা দুনিয়া, জান্নাত নয়। তাই সবকিছুর হ্যাপি এন্ডিং হবে না। আমরা আহত হবো, পালটা আঘাত করব। অপরের বক্তব্যকে গ্রাহ্য না করেই সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু একে অন্যের অবস্থানে অনড় থেকে মতবিনিময় শেষ হলেও যেন আমরা এটুকু ভুলে না যাই যে, দিনশেষে আমরা একই তাঁবুর বাসিন্দা। তাই আমাদের অসম্মতি প্রকাশের ভাষারও একটা সীমা থাকা জরুরী। একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গীকে বুঝতেই একে অপরের সহযোগিতা আরও বেশি জরুরী। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম (রাহিমাহুল্লাহ)। আফগানের শিরক-বিদাতের কথা তুলে তিনি দূরে সরে থাকেননি। তাদের সাথে মিশেছেন, একসাথে কাজ করেছেন। তাই বলে সঠিক কথা বলতে পিছ-পা হননি। ফলাফল? হানাফিরাও সালাফি এই শাইখকে বুকে টেনে নিয়েছেন। ভুল দেখিয়ে দেওয়া তো সোজা, ভুল থেকে উঠে আসতে সাহায্য করে কয়জন? এতে সময় লাগে, ধৈর্য লাগে, মমতা লাগে। যে মমতাকে আল্লাহ বলেছেন, ‘রুহামা বাইনাহুম’। যে বেদুইন মসজিদে পেশাব করতে বসে গিয়েছিল তার প্রতি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আচরণ কেমন ছিল? হুনায়নের পর যখন একজন বলল, গনীমাহ বন্টনে ইনসাফ হয়নি, আল্লাহর সন্তুষ্টিও চাওয়া হয়নি, একথা শুনে নবীজির(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল কিন্তু তাঁর কথা কেমন ছিল? একটা উপমা দিয়ে লেখা শেষ করতে চাই। এর আগে কুতর্ক এড়াতে উপমা জিনিসটাও একটু ব্যাখ্যা করতে চাই। ধরুন, আপনি কাউকে বললেন, কুকুর হাড়কে যেমন ভালোবাসে আমিও তোমাকে ঠিক সেভাবে ভালোবাসি। প্রতিক্রিয়ায় সে যদি বলে যে, কী! তুমি আমাকে কুকুরের হাড়ের সাথে তুলনা করলে? তাহলে আসলে সে উপমা কী সেটাই বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তীতে এই ভুল করবেন না। উপমা বলতে বুঝানো হয় দুটো জিনিসের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে অন্য একটি সম্পর্কের সাথে তুলনা করা। হুবহু জিনিসগুলোর সাথে তুলনা নয়। তাই বলাই বাহুল্য, এখানে হাড়ের প্রতি কুকুরের আকর্ষণের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছিল, হাড় কিংবা কুকুরের সাথে সাদৃশ্যের প্রতি নয়। এখন আসি উপমায়। ফেইসবুক যদি একটা বাজার হয় তাহলে সেই বাজারে ইসলাম একটা সুপারশপ। আন্তরিক ভাইবোনেরা সবাই এই সুপারশপের কর্মী। কর্মীরা যদি ঝগড়াঝাঁটিতে লিপ্ত থাকে তাহলে সেখানে ক্রেতারা উঁকি দিয়েই চলে যাবে এতো বলাই বাহুল্য।

আমাদের লক্ষ্য ক্রেতাদেরকে এই সুপারশপে আসতে আগ্রহী করে তোলা, জীবনে চলার যে পাথেয়গুলো এই সুপারশপ অফার করে সেগুলো তাদের হাতে তুলে দেওয়া। এখানে আমরা সবাই সব পণ্য নিয়ে বসে নেই, একেকজন একেক পণ্য নিয়ে কাজ করছি। আমার অবস্থান থেকে আমি পাশের কর্মীকে ভুল করতে দেখলে তাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব। কেন? কারণ, একজন ভুল করলে আখেরে সুপারশপেরই ক্ষতি। সেটা আমরা চাই না। কিন্তু সেজন্য আমরা নিজের কাজ ফেলে তার সাথে গিয়ে ঝগড়া বাঁধাবো না। কারণ, এতে দোকানের আরও বড় ক্ষতি। বরং এই সুপারশপের কর্মীদের পারস্পরিক আচরণ তো এমন হবে যে, ক্রেতারা দোকানে এসে কিছু না কিনলেও পরিবেশ দেখে ভাববে যে, ইশ! ক্যারিয়ার সুইচ করে এই দোকানে চাকরি নিয়ে ফেললে মন্দ হতো না।

  ربنا اغفر لنا ولاخواننا الذين سبقونا بالايمان ولا تجعل في قلوبنا غلا للذين امنوا ربنا انك رءوف رحيم

“...হে  আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রগামী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর  এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের  পালনকর্তা, আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়।”(হাশর:১০)

source : https://web.facebook.com/notes/modasser-billah-tishad/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE/10154044307858559

Comments

Popular posts from this blog

The Superstar Of Hell

অ্যাডাম টিজিং

PHP তে HTML Escape করা